শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন
মুস্তাকিম বিল্লাহ:
রজব মাস শুরু হয়েছে। রজব মাসের কথা শুনলেই মনে হয়, রমজানের আর বেশিদিন বাকি নেই মাত্র দুই মাস বাকি। জাহেলি যুগে আরবরা এ মাসকে খুবই সম্মানের চোখে দেখত। এ মাসের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষায় তারা নিত্য চলমান হানাহানি, মারামারি ও যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করে দিত। এজন্যই তারা এ মাসকে রজব নামে অভিহিত করেছিল। ইসলাম এ মাসের মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘মহান আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস ১২টি, সেই দিন থেকে যেদিন আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে চারটি মাস মর্যাদাপূর্ণ।’ (সুরা তওবা : ৩৬)।
মর্যাদাপূর্ণ মাস চারটি হলো জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব। (সহিহ বোখারি : ৩৭২)।
এ মর্যাদাপূর্ণ চারটি মাসের অন্যতম হলো রজব। তাই মর্যাদাপূর্ণ মাস রজব সম্পর্কে সচেষ্ট থাকা উচিত। এর সদ্ব্যবহার থেকে বিরত থাকলে বহু কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবে।
মহান আল্লাহ বিশেষ রাতে ও বিশেষ দিনে বান্দাদের দোয়া কবুল করেন, তন্মধ্যে পাঁচটি রাত অন্যতম। ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, এমন পাঁচটি রাত আছে, যেগুলোতে আল্লাহতায়ালা বান্দার দোয়া ফিরিয়ে দেন না। জুমার রাত, রজবের প্রথম রাত, শাবানের ১৫ তারিখের রাত ও দুই ঈদের রাত। (বায়হাকি : ৬০৮৭)।
রজব মাসের আমল : হজরত আনাস বিন মালেক (রা.) বলেন, রজব মাস আগমন করলে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলতেন(উচ্চারণ) ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাজান।’ অর্থ : হে আল্লাহ! রজব ও শাবান মাসে আমাদের বরকত দান করুন আর রমজান পর্যন্ত আমাদের জীবিত রাখুন। (বায়হাকি, শোয়াবুল ইমান : ৩৫৩৪)।
তবে এ মাসের জন্য নির্ধারিত বিশেষ কোনো নামাজ, রোজা ও বিশেষ পদ্ধতির কোনো আমলের হুকুম দেওয়া হয়নি। তাই মনগড়া আমল করে এ মাসের ফজিলত ও বরকত লাভ করা যাবে না। রজব মাসের বরকত ও ফজিলত হাসিল করার জন্য অন্য মাসে পালনীয় ফরজ ইবাদতগুলো যথাযথ পালন করতে হবে এবং বেশি বেশি নফল ইবাদত করতে হবে।
ভয়েস/আআ